গুলশান কমার্স কলেজের ইতিহাস

গুলশান কমার্স কলেজের ইতিহাস

প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে থাকে কিছু ব্যক্তি, পরিপ্রেক্ষিত এবং লক্ষ্য। গুলশান কমার্স কলেজ প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে খ্যাতিমান কতিপয় ব্যক্তির কর্ম প্রচেষ্টা ও তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। বিশ্বায়নের সাথে তাল মেলানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাজার অর্থনীতির কর্পোরেট কালচারে অবগাহন করা ছিলো সময়ের দাবি। তাছাড়া শুধু চাকরি নয়; উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্যবসায় শিক্ষায় জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প ছিলো না। সময়ের এই সব বাস্তবতাকে মানসপটে লালন করে ব্যবসায় শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রীসম্পন্ন একটি দক্ষ জনগোষ্ঠি গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক যুগেরও বেশি সময় পূর্বে যে ক'জন স্বনামধন্য শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন- তাঁদের মধ্যে গুলশান কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ জনাব এম এ কালামের নাম উল্লেখযোগ্য।

 

বাংলাদেশের ব্যবসায় শিক্ষা প্রসারের প্রথিকৃত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ ডিপার্টমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজনেস স্টাডিস অনুষদ এর সাবেক ডীন প্রফেসর মোঃ মঈনউদ্দিন খানসহ দেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও মেধাবী ব্যক্তিদের দিক-নির্দেশনা এবং বাংলাদেশে কমার্স বিষয়ক পুস্তক প্রকাশনার অন্যতম প্রতিষ্ঠান কমার্স পাবলিকেশন্সের স্বত্বাধিকারী ও কমার্স বিষয়ক বহু গ্রন্থ প্রণেতা জনাব এম এ কালামের যোগ্য নেতৃত্বে গুলশান কমার্স কলেজের যাত্রা শুরু হয়।

কলেজটির পরিচালনা পর্ষদে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে বেশ ক'জন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির সমাগম ঘটে। যাঁদের সার্বক্ষণিক তদারকি, নির্দেশনা ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গুলশান কমার্স কলেজকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তাঁদের মধ্যে লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের সুযোগ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ইডেন মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জনাব সাহতাব উদ্দীন, খান এসোসিয়েটস্'র CEO ও বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তি জনাব এ আর খান রানা, রে-প্রিন্টার্সের পরিচালক মিসেস জোৎস্না কালাম, পপি লাইব্রেরির স্বত্বাধিকারী জনাব নাহরিন ফারহানা পপি, খিলগাঁও মডেল কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম, বৈশাখী ক্রিয়েশনের CEO জনাব রিয়াজ হায়দার এর নাম উল্লেখযোগ্য।

শুরুতে মাত্র ২৮ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে গুলশান-বাড্ডার লিংক রোডে একটি ভাড়া বাড়িতে এর যাত্রা শুরু। প্রথম বছরের ফলাফলে GPA-5 সহ শতভাগ পাসের যে ধারা সূচিত হয়েছিলো তা আজও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে দুটি বর্ষে এর ছাত্র সংখ্যা প্রায় ১৮০০। হাজার হাজার কৃতী শিক্ষার্থী ও তাদের গৌরবগাঁথার কারণে গুলশান কমার্স কলেজ আজ সগৌরবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে 'A' ক্যাটাগরিভুক্ত কলেজের মর্যাদায় ভূষিত। এক যুগের বেশি সময়ের পথ পরিক্রমায় গুলশান কমার্স কলেজ আজ শিক্ষা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজ। এই পথ চলায় গুলশান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের জন্য শিক্ষা, সহশিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে বয়ে এনেছে ব্যাপক ও ঈর্ষণীয় সাফল্য। তারকা চিহ্নিত প্রতিষ্ঠান ও অধ্যক্ষ জনাব এম এ কালাম-এর সুদক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিও আসে ২০১৯ সালে। জনাব এম এ কালাম ভূষিত হন ২০১৯ সালের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের মর্যাদায়। কলেজটি আজ নিজস্ব জায়গায় বহুতল ভবনে ঢাকা মহানগরীর তথা বাংলাদেশের একটি অনুসরণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সমাদৃত। বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাঠদানের পাশাপাশি বিবিএস পাস কোর্স চালু রয়েছে। কলেজটির অনার্স কোর্স চালুর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।