প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

দেশে প্রচলিত উচ্চ শিক্ষার তিনটি ধারার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা বিগত দুই দশক যাবৎ শীর্ষে অবস্থান করছে। মানুষের শিক্ষাবিষয়ক চিন্তাভাবনায় এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। জীবন মান উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় 'কেউ কাউকে নাহি ছাড়ে সমানে সমান (Win-Win position)'। একবিংশ শতাব্দীর পরিবর্তনের মিছিলে জীয়ন কাঠির স্পর্শে জেগে উঠেছে প্রাণ, সর্বত্র পড়েছে সাড়া। টিকে থাকার লড়াইয়ে তরুণ প্রজন্ম ছুটছে দেশ থেকে দেশান্তরে। নিজের মেধা, যোগ্যতা, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের স্বীকৃতি আদায় করছে বিশ্বের বিভিন্ন জাতি-রাষ্ট্রের কাছ থেকে। দেশের জন্য আর্শীবাদস্বরূপ এ উদ্যমী প্রজন্মই বাংলাদেশের চালিকা শক্তি (Driving force)। এই প্রজন্মকে ভবিষ্যতের লড়াইয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুলশান কমার্স কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সনাতন চিন্তায় বিদ্যার্জন ছিল অনেকটা শখ ও শৌখিন বিষয়। যার কারণে প্রায়োগিক দিক বিবেচনা না করেই শুধু খেয়ালের বশে ও আলস্যে সময় কাটানোর জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থী নিজেই বুঝে নেয় তার ভবিষ্যতের জন্য কোন ধরনের শিক্ষা প্রয়োজন এবং কোনটি Career-এর জন্য অধিক ফলপ্রসূ। আর এ জন্যেই মাধ্যমিক পাস করার পর বিভাগ পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে যায়। এটা শুভ লক্ষণ বলেই মনে হয়। তবে গুণগত ও মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করতে না পারলে, শুধু বিভাগ পরিবর্তন করেই প্রত্যাশিত পিরামিডের শীর্ষে আরোহণ করা যাবে না। আর্থিক স্বচ্ছলতার জোরে ডিগ্রি অর্জন করলেও ভালো Career গঠন কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ বাংলা প্রবাদ বলে- গোড়ায় গলদ থাকলে সকল আয়োজন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে বাধ্য। আর সেজন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরটিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বলে শিক্ষা গবেষকগণ মত দেন। স্বল্পমেয়াদি এ স্তরের রেশ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি। HSC-তে একটি ভালো ফলাফল এবং জেনে-বুঝে দক্ষতা অর্জন করে পাস করলে উচ্চতর শিক্ষার পথ প্রসারিত হবে এবং জীবন হবে বিকশিত ও আনন্দময়। গুলশান কমার্স কলেজ তার সকল প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমকে সেভাবেই সাজিয়েছে। উদ্দেশ্য হলো শুধু HSC নয় এই পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের Drop out কমিয়ে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা। তিল তিল করে শ্রম, সাধনা ও নিরলস প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা 'গুলশান কমার্স কলেজ' বাংলাদেশের শিক্ষা পরিবারের উদীয়মান একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বমহলে নন্দিত ও প্রশংসিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই চমৎকার ফলাফল, Drop out রোধ, GPA বৃদ্ধি, পরিশীলিত ও মার্জিত জীবনবোধ, শিষ্টাচার, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তরুণ প্রজন্ম গঠনে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে সামনে এগিয়ে চলায় অভিভাবকদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। গুলশান কমার্স কলেজ Minimum Cost-এ Maximum Service প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে শিক্ষার্থীদের আগামীর যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে চলছে। শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবক ও সুধী সমাজের যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ গুলশান কমার্স কলেজ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ব্যবসায় শিক্ষাকে ধারণ ও লালন করে সামনে এগিয়ে যাবে- এই প্রত্যাশা আমরা বরাবরই পোষণ করি। উদ্দীপনামূলক প্রেষণার মাধ্যমে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, মাসিক মূল্যায়ন, পাঠোন্নতি সম্পর্কে অভিভাবকগণকে অবহিতকরণ, ঝরে পড়া রোধসহ অসংখ্য সহশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের নিশ্চয়তা বিধানে আমরা বদ্ধপরিকর। ব্যবসায় শিক্ষার একটি অনুকরণীয় ও আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুলশান কমার্স কলেজকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গীকার করছি, ইনশাল্লাহ। -এম এ কালাম অধ্যক্ষ, গুলশান কমার্স কলেজ